বিশ্বজুড়ে করোনার প্রভাব নিয়ে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে। মৃত্যুর মিছিল, অর্থনৈতিক সংকট, কর্মসংস্থান সংকোচনের পরিসংখ্যান তো আছেই। এই গ্রহের প্রভাব কি পড়ল তারও উত্তর খুঁজে পেয়েছেন জার্মান বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, বিশ্বের সব প্রান্তেই কোয়ারিন্টিনের প্রভাবের ফলে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমনের পরিমান নিশ্চিন্তভাবে কমেছে, তবে এতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড এর ঘনত্বের ওপর তেমন কোনো প্রভাব এখনও পড়েনি।
কার্লসরুহে ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি গবেষকরা ইনফ্রারেড স্পেকট্রোমিটার ব্যবহার করে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরে গ্যাসের ঘনত্বের ওপর একটি তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ করেন, তাঁরা সামান্য পরিবর্তন লক্ষ করেন। যদিও সেই পর্যবেক্ষণ যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ছিল। চলতি বছর পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যত পরিমান কার্বন ডাইঅক্সাইড থাকার কথা ছিল, সেই পরিমানের সঙ্গে তুলনা করে এই হিসাব তাঁরা করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মহামারীর সময়ে বিভিন্ন দেশের পরিবহন ও উড়ান পরিষেবার একই বড় অংশ বন্ধ থাকার কারণে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমন প্রায় ৮ শতাংশ কমেছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড এর ঘনত্ব কমানোর ওপর জোর দিয়েছেন। তাদের মতে, যদি দশকের পর দশক ধরে এই বিধিনিষেধ চলতে থাকে তবেই তা সম্ভব হবে।
জলবায়ু সম্পর্কিত প্যারিস চুক্তির মূল লক্ষই হল, শিল্প বিকাশের রমরমা হওয়ার আগে বিশ্ব উষ্ণয়ন যে পর্যায় ছিল তার থেকে অন্তত দেড় ডিগ্রি ওপরে তাকে বেঁধে ফেলা। এটি সম্ভব ধারাবাহিকভাবে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের নিঃসরণ কমানোর মাধ্যমে। ২০২০ সালে এই পরিমান প্রায় ৮ শতাংশ কমেছে এই কথা ঠিক, সেই সঙ্গে এইকথাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে চলতি বছর শিল্পউৎপাদনও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
If you have any doubts, please let me know