রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

উন্নয়নের অন্তরায় সংকীর্ণ রাজনীতি




ভারতের প্রত্যেকটি রাজনীতি দল দেশের শ্রমিক ও কৃষকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা বলে। নির্বাচনের মুখে প্রকাশে জনসভায় প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেয়। নির্বাচনের পর মুখে কুলুপ এতে বসে থাকে। কৃষকের সমস্যা সমাধানে অধরাই থেকে যায়। যুগ যুগ ধরে এই ধারাই চলে আসছে। এখন সবজির দাম বেড়েছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি প্রতিবাদ সভা করছে। ক্ষমতাসীন দলকে গালমন্দও করা হচ্ছে। আলুর মূল্যবৃদ্ধির জন্য অনেক কারণ থাকতে পারে। আলু হিমঘরে মজুত করা ছিল। চাহিদা অনুযায়ী দাম বেড়েছে, সেটা নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের কর্তব্য। বর্তমানে যেভাবে আলুর দাম বেড়েছে তাতে কৃষকের কোনো লাভ নেই। তাদের লাভ-লোকসানের হিসাব ফসল তোলার সময়ই হয়ে যায়। এখন যেটা হচ্ছে, সেটি মজুদদারের কারসাজি। কিন্তু আলু বাদে অন্য সবজি কৃষকেরা সরাসরি বাজারে নিয়ে আসেন, তাঁরা যদিও লাভের মুখ দেখতে পান তবে সবারই আনন্দও হওয়ার কথা। সবজি ফলাতে পরিশ্রম, সার, বীজ, সেচের জল সবই প্রয়োজন হয়। কৃষকের লোকসান হলে পেটে হওয়া ভরে দিনাতিপাত করা ছাড়া উপায় নাই।

 যখন লঙ্কা বা টমেটোর বাজারদর তলানিতে থেকে ছিল, তখনও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি রাস্তা অবরোধ করে, লঙ্কা ছিটিয়ে প্রতিবাদ সভা করেছিল। কৃষকদরদী ভাষণ সোনা গিয়েছিলো। এখন ঠিক উল্টো, সাধারণ মানুষের স্বার্থের প্রশ্ন তুলে সবাই কার্যত কৃষকবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। আমাদের এই দেউলিয়াপনা ও সস্তার রাজনীতি অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। কৃষকের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলে তবেই শিল্পের উন্নয়ন ঘটবে এবং দেশ এগিয়ে যাবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রেষারেষিও কমবে। দেশে শান্তি বিরাজ করবে। এসব বিষয়ে নেতা-নেত্রীরা কি বোঝেন? খুব বোঝেন, সমস্যা ছাড়া রাজনীতি যে একেবারে অচল।   

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

If you have any doubts, please let me know

বিরোধিতা মানে শুধু অন্ধ বিরোধিতা নয়

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিন, গ্যাস আর দাম যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়িয়েছে যার প্রভাব দেশের জনগণের সঙ...