সোমবার, ৫ এপ্রিল, ২০২১

বিরোধিতা মানে শুধু অন্ধ বিরোধিতা নয়

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিন, গ্যাস আর দাম যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়িয়েছে যার প্রভাব দেশের জনগণের সঙ্গে রাজনৈতিক অন্দরে সর্বত্র পড়েছে। ভারতবর্ষের বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার যথেষ্ট কাজ করে চলেছে কিন্তু রাজ্য সরকারগুলি কেন্দ্রের বিরোধিতা করতে গিয়ে মানুষে মনে বিরূপ কেন্দ্রীয় মনোভাব মানুষের মনে জাগিয়ে তুলেছে যেখানে তারা রাজনৈতিক ভাবে সার্থক। বিরোধিতা মানে কি শুধু অন্ধ বিরোধিতা? ভারতবর্ষের সব জায়গায় ১৪কেজি ভুর্তুকিযুক্ত দেশীয় সিলিন্ডারের দাম ৬১০টাকা থেকে ৭১০টাকা বেড়েছে যা নিঃসন্দেহে একটি ব্যথা তবে কেন এই বৃদ্ধি হয়েছে সেই প্যাটার্নটা আগে বোঝা উচিত। ২০১৫ সালের এলপিজির কভারেজ ছিল ৫৮%, ২০২০ সেটি গিয়ে দাঁড়ায় ৯৮% সেখানে উজ্জলা স্কিমের মাধ্যমে ৪ কোটিরও বেশি সংযোগ অন্তরর্ভুক্ত ঘটেছে, এর ভিতরে ৯০% ভুর্তুকিযুক্ত এলপিজি গার্হস্থ্য পরিবারগুলো গ্রাস করে।



এলপিজির ট্রেন্ড ইনডেন ৩০% মার্কেট শেয়ার

ডিসেম্বর ২০১৪ - ৭৪৯/-
ডিসেম্বর ২০১৫ - ৬২১/-
ডিসেম্বর ২০১৬ - ৫৯৩/-
ডিসেম্বর ২০১৭ - ৭৫৬/-
ডিসেম্বর ২০১৮ - ৮২৭/-
ডিসেম্বর ২০১৯ - ৭১৪/-
ডিসেম্বর ২০২০ - ৬৬০/-
এপ্রিল ২০২১ - ৮৬২.৫০/-

এবার বুঝতে হবে এলপিজির দাম কিভাবে নির্ধারিত হয়? ভারতে এলপিজির মূল্য আমদানি প্যারিটি প্রাইসের (আইপিপি) ভিত্তিতে করা হয়। ভারত সৌদি আরবের দাম মার্কিন ডলারে অনুসরণ করে। অভ্যন্তরীণ ফ্রেইট আর দাম, বিতরণ ব্যায় এবং ওএমসির মার্জিন, বোতলজাত করণের চার্জ, ডিলার কমিসন এবং জিএসটি এর সঙ্গে যুক্ত।  


ভারত কেন মূল্য নির্ধারণ করেছে? ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে নভেম্বর এলপিজির উৎপাদন ছিল ৮.৪ মিলিয়ন টন, এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাসে এলপিজির খরচ ছিল ১৭.১ মিলিয়ন মেট্রিক টন। ভারত মধ্যপ্রাচ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঘাটতি রফতানি করে।


পূর্বতন উপিএ সরকারের ফেলে আসা তেল নির্মাতাদের ৩৫০০ কোটি টাকার তেল বন্ড এই বর্তমান সরকারকে পরিশোধ করতে হয়েছে যার সুধের পরিমান ৯০০০ কোটি টাকা আজও অব্যাহত রয়েছে। ১০০০০ কোটি টাকা মূল বকেয়া ১.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা ২০২১ সালের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।


সুদের পরিশোধ এবং মুলতুবি মূল্যায়ন পরিশোধের অন্যতম কারণ বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার পরিবহন ও এলপিজির দাম হ্রাস করতে বাধ্য হয়েছে। আরো বেশী ভূর্তকি কেবল ভবিষ্যতের সমস্যা বোঝায়। 


২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ভারতে এলপিজির বৃদ্ধি এবং প্রিসিং ব্রেকআপ এর ডাউন পয়েন্টিং দিলাম



অন্ধ বিরোধিতা না করে ঠান্ডা মাথায় বিচার করলে বোঝা যায় কেনো এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে।








কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

If you have any doubts, please let me know

বিরোধিতা মানে শুধু অন্ধ বিরোধিতা নয়

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিন, গ্যাস আর দাম যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়িয়েছে যার প্রভাব দেশের জনগণের সঙ...