শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মহামারি বোঝাল সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা কতটা জরুরি



শতাব্দীর ভয়ঙ্করতম মহামারির চেহারা নিয়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। এই বিপর্যয় আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে আরও একবার জনসমক্ষে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে। একদিকে দেখা যাচ্ছে, দেশের হাসপাতালের ৬০ শতাংশ স্বাস্থ্য বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের আওতায়। অন্যদিকে, দেশের চিকিৎসকদের প্রায় ৮০ শতাংশ এই ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত। অথচ করোনা সংক্রামণের মতো জরুরি পরিস্থিতিতে দেশের অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালের ভূমিকা অতি নগণ্য। অধিকাংশ বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান কার্যত হাত গুটিয়ে বসে। যে গুটিকয়েক বেসরকারি হাসপাতাল করোনা চিকিৎসা করছে, তাদের খরচ সাধারণ মধ্যবিত্তের ধরাছোয়ার বাইরে। এমতাবস্থায় দেশের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রাগুলি সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে এই মহামারির বিরুদ্ধে একা কুম্ভের মতন লড়ে যাচ্ছে। মহারাষ্টের ৮২ শতাংশ মানুষের বিনামূল্যে করোনা চিকিৎসা করছে সরকারি হাসপাতালগুলি। যে সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে উচ্চবিত্তরা অবজ্ঞার চোখে দেখতেন, কোনওদিন ধাতর্বের মধ্যে আনতেন না। এই মহামারির পরিস্থিতিতে তাঁরাও আবার উপলব্ধি করছেন, গণস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে রাষ্টের ভূমিকা ও সুদীর্ঘ জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রয়োজনিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রোম নগরী যেমন একদিনে তৈরি হয়নি, তেমনি ভারতের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো রাতারাতি এই জায়গায় পৌঁছোয়নি। এর পিছনে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। সেই ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকগুলি একবার ফিরে দেখা যাক। ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষে স্বাস্থ্যব্যবস্থা বলতে মূলত ছিল ঊনবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশক থেকে কলকাতা, মাদ্রাজ, বোম্বাইয়ের মতো বিভিন্ন বাণিজ্যনগরী এবং দার্জিলিংয়ের মতো কিছু শৈল শহরে ইংরেজ কর্মচারী, সেনাবাহিনী এবং দেশীয় জমিদারের পরিবার পরিজনদের চিকিৎসার জন্য তৈরি কিছু হাসপাতাল। যদিও কিছু মিশনারি সংস্থা জনসাধারণের জন্য কিছু দাতব্য চিকিৎসালয় খুলেছিলো। কিন্তু সারা ভারতে সেগুলির সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। আসলে বাংলার নবজাগরণের সময় থেকে ব্রাহ্মসমাজ এবং অন্যান প্রগতিশীল মানুষজনের উদ্যমে ভারতীয়দের মধ্যে প্রাশ্চ্যাত চিকিৎসা ব্যবস্থা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করে। ভারতীয়রাও ডাক্তারি পড়তে শুরু করেন, যদিও সেই প্রবণতা শহরে বিত্তশালী উচ্চবংশীয় পরিবারের পুরুষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষে দিকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বেড়াজাল ভেঙে কাদম্ব কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়, আনন্দীবাঈ জোশি, হৈমবতী সেনের মতো কিছু সম্ভ্ৰান্ত পরিবারের মহিলা পুরুষ প্রভাবিত ডাক্তারি দুনিয়ায় সফলভাবে পদার্পন করেছিলেন।

তখন দলিত ও আদিবাসী সমাজের ছেলে মেয়েদের পক্ষে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ হয়নি। চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল মূলত শহরকেন্দ্রিক। গ্রামাঞ্চলে মানুষ মূলত বৈদ্য-হাকিম-ওঝাদের ওপর নির্ভরশীল ছিল। ইংরেজ শাসকদের অনুকূল্যে ভারতীয় উপমহাদেশের আয়ুর্বেদ, ইউনানি, সিদ্ধা, হাকিম ইত্যাদি চিকিৎসা পদ্ধতি ততদিনে ইউরোপীয় আধুনিক আলোপ্যাথি চিকিৎসার কাছে কৌলিন্য হারিয়েছে। বর্তমান সময়েও যে সেই পরিস্থিতির সম্পূর্ণ বিনাশ ঘটেছে, তা বলা যাবে না। আজও চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেকটাই শহরকেন্দ্রিক ও পুরুষশাসিত। স্বাধীন ভারতে স্বাস্থ্যব্যবস্থার পথচলা শুরুহয়ে ভোরে কমিটির হাত ধরে। জোসেফ উইলিয়াম ভোরে'র নেতৃত্বে এই কমিটি ভারতীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থার এক পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেয়, যা স্বাধীন ভারতের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার রূপরেখাটি তৈরী করে দিয়েছিলেন। এই কমিটির সদস্যদের অন্যতম ছিলেন তৎকালীন বিখ্যাত চিকিৎসক বিধানচন্দ্র রায়, যিনি পরবর্তীকালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে সমীক্ষা করে এই কমিটি ভারতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থার করুন দশার পাশাপাশি অপুষ্টি, চরম দরিদ্র, বেকারত্ব, নিরক্ষরতা, স্বাস্থ্য-শিক্ষার অভাব, বসবাসের অনুপযুক্ত বাড়িঘর, সৌচাগার এবং নিকাশি ব্যবস্থার অপ্রতুলতা তথা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস ইত্যাদিকে ভারতীয়দের স্বাস্থ্য সমস্যার মূল কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।

প্রকৃত অর্থে স্বাস্থ্যব্যবস্থা বলতে শুধুমাত্র রোগ নিরাময়ের জন্য চিকিৎসা ও হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরী ইত্যাদি বোঝায় না। অর্থাৎ শুধু চিকিৎসা পরিকাঠামোর উন্নতি করলেই স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। পূর্বে উল্লেখিত আর্থসামাজিক সমস্যাগুলির দিকে বিশেষ নজর দেওয়ারও প্রয়োজন রয়েছে। এই সোমবার সমাধান করলে শিশু ও মাতৃকালীন উচ্চ মৃত্যুহার, বিভিন্ন মহামারি রোধের পাশাপাশি জনসাধারণের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিবিধান সম্ভব। উন্নতি প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ম্যালেরিয়া বা ডায়েরিয়ার মতো রজার চিকিৎসায় রাষ্ট্রকে হাসপাতাল তৈরির পাশপাশি এই রোগগুলি দমনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, যেমন নিয়মিত জঙ্গল-জঞ্জাল পরিষ্কার এবং জনস্বাস্থ্য পরিশ্রুত পানীয়জল সরবরাহ ইত্যাদি সুনিশ্চিত করতে হবে। সাত দশক পেরিয়ে গেলেও ভোরে কমিটির মতো এমন পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ সহ পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের জুড়ি মেলা ভার ভারতবর্ষে। অথচ বর্তমান আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটেও এই কমিটির সুপারিশ সমান প্রাসঙ্গিক।

স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে সম্পূর্ণ সরকার পোষিত স্বাস্থ্যব্যবস্থা চালু করার পরামর্শ দিয়েছিলো ভোরে কমিটি। এই কমিটির একটি কালজয়ী প্রস্তাব 'সবার জন্য স্বাস্থ্য'। অর্থাৎ ধনী, গরিব নির্বিশেষে সমস্ত জনগণকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেবে রাষ্ট্র। ন্যায় এবং সাম্যের আদর্শে চিকিৎসা ব্যবস্থা হবে সার্বজনীন। দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রাগুলিকে তিনটি স্তরে ভাগ করে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি প্রাথমিক স্তরে বিশেষ্যত গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রাগুলিকে সমৃদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছিলো এই কমিটি। এই তিনটি স্তরের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের জন্য ফেডারেল ব্যবস্থার প্রস্তাব ছিল কমিটির রিপোর্টে। জওহরলাল নেহেরুর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ভারত সরকার উপলব্ধি করেছিল, গনচিকিৎসা এবং জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা হল কল্যাণকামী রাষ্ট্রের কাজ। কাজেই একে ঢেলে সাজানো জরুরি। ভোরে কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী প্রথম এবং দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় চিকিৎসা পরিকাঠামো যেমন হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ইত্যাদি সৃষ্টিতে এবং মানবসম্পদ যেমন চিকিৎসক, নার্স, প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী তৈরিতে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া ম্যালেরিয়া দমন, মাতৃকালীন মৃত্যু এবং শিশুমৃত্যু রোধের পাশাপাশি পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থা এবং সৌচালয় তৈরিতে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল। এরপরও বিভিন্ন সময়ে গঠিত অন্যান্য কমিটি যেমন মুদালিয়ার কমিটি (১৯৬২), চাড্ডা কমিটি (১৯৬৩), কাতার সিংহ কমিটি (১৯৭৪), শ্রীবাস্তব কমিটি (১৯৭৫) কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যেমন মাল্টিপারপাস হেলথ ওয়ার্কার্স পদ সৃষ্টি, চিকিৎসা শিক্ষা সম্প্রসারণ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষন ইত্যাদি করেছিল। এতে ভারতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্যব্যবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা মজবুত হতে শুরু করেছিল। এছাড়া বেশকিছু আন্তর্জাতিক ঘটনাপ্রবাহ এবং সংস্থা ভারতীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলো। ১৯৭৮ সালে সোভিয়েত উনিয়নের আলমা-আটা শহরে ভারত সহ বিশ্বের ১৩৮টি দেশ এক ঘোষণাপত্রে সাক্ষর করে যা "আলমা-আটা ডেক্লারেশন" নাম পরিচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তৎকালীন মহাপরিচালক হাফদান মাহলার এই সম্মেলনের আয়োজন এবং আর রূপরেখা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। এই অধিবেশনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলি প্রাথিমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে সুদীর্ঘ করতে এবং স্বাস্থ্যকে মানুষের অধিকার হিসাবে সুনিশ্চিত করার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে "সবার জন্য স্বাস্থ্য" এই বৈপ্লবিক ঘোষণাটি করে। এই সম্মিলনের পর ভারত সরকার ১৯৮৩ সালে প্রথম জাতীয় স্বাস্থ্য আইন প্রণয়ন করে, যাতে আলমা-আটা ঘোষণার প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয় ছিল।

ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কোনোদিনই পুরোপুরি রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত এবং পরিচালিত ছিল না। সরকারি সাস্থ্যব্যবস্থার পাশাপাশি চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেসরকারি ক্লিনিক, প্রাইভেট প্র্যাকটিস ইত্যাদির প্রচলন শুরু থেকেই ছিল। তবে গত শতাব্দীর নয়ের দশকে ভারতীয় অর্হনীতির উদারনীতিকরণ এবং বিশ্বায়নের ধাক্কায় অন্যান ক্ষেত্রের মতো চিকিৎসা ব্যবস্তাতেও বাণিজ্যকরণের পথকে সুগম করে দিয়েছিলো। এই সময় থেকে ভারতীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থায় দেশি-বিদেশী বেসরকারি সংস্থার প্রভাব বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থনৈতিক প্রতিপত্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদেশফেরত বেশ কিছু চিকিৎসক বিশেষত দক্ষিণ ভারতের কিছু শহরে কর্পোরেট স্টাইলে বিলাসবহুল হাসপাতাল খুলে বসেন। ক্রমশ এই হাসপাতালগুলির শাখা সারা ভারতে ছড়িয়ে পরে। এই সময় ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলি কম পয়সায় প্রাণদায়ী ওষুধ তৈরী এবং বিক্রি করে প্রায় সারা বাজার দখল করে নেওয়ার উপক্রম করেছিল। কিন্তু "ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস" সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তির কল্যানে ভারতের দেশীয় বাজারেই ওষুধের দাম এখন আকাশছোঁয়া। ছোট্ট শহরগুলিয়েও ছোট-বড় নানা ধরণের নার্সিংহোম, প্রাইভেট ক্লিনিক ইত্যাদি ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে।

অন্যদিকে, নানাভাবে মধ্যবিত্ত মননে এই ধারণাকে সুদীর্ঘ করা হয়েছে যে, সরকারি প্রতিষ্টান মানে সেখানে যথাযথ  পরিষেবা পাওয়া যায় না। এই বিশাল আঁতাত বিভিন্ন রকম প্রচার করে সাধারণ জনতাকে সরকারি হাসপাতাল থেকে নার্সিংহোমমুখী হতে বাধ্য করেছে। "আয়ুষ্মান ভারত" নিয়ে যতই ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করা হোক না কেন, আসলে এই বিমা নির্ভর প্রকল্প স্বাস্থ্যব্যবস্থার পথকে সুগম করেছে। যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে সরকার এই বিমার প্রিমিয়াম দিচ্ছে, সেই টাকায় সরকারি হাসপাতালগুলির চেহারা এবং পরিকাঠামো, দুই পাল্টে দেওয়া যেত। ২০০৫ সালে প্রবর্তিত ন্যাশনাল রুরাল হেলথ মিশন (এনআরএইচএম) এর হাত ধরে এই চেষ্টা একবার শুরু হয়েছিল বটে। এই মিশন সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয়, বিশেষত গ্রামীণ এলাকায় প্রভূত উন্নতির পাশাপাশি মাতৃত্বকালীন এবং শিশুর মৃত্যুহার কমানোয় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল। এই প্রসঙ্গে ন্যাশনাল রুরাল হেলথ মিশনে নিযুক্ত আশাকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টার কথা আলাদা করে বলতেই হবে। এই আশাকর্মী, অক্সিলিয়ারি নার্স মিডওয়াইফ (এএনএম) এবং কমিউনিটি হেলথ অফিসার (সিএইচও) প্রমুখ স্বাস্থ্যকর্মীই এখন দেশের প্রতিটি গ্রামে করোনা মহামারীর সঙ্গে যুদ্ধে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়ছেন।

এই মহামারি পরিস্থিতি আবার আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে, ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলিতে সরকারি হাসপাতাল এবং জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। বেসরকারি হাসপাতালগুলি শুধুমাত্র "ক্লিনিকাল হেলথ" এবং "কিউরেটিভ কেয়ার" পরিষেবা দিতে আগ্রহী। কারণ, জনস্বাস্থ্য হল জনসম্পদ, অর্থনীতির ধ্রুপদী নিয়মানুযায়ী যেখানে মুনাফা অর্জনের সুযোগ কম। কাজেই বৈপ্লবিক ঘোষণা "সবার জন্য স্বাস্থ্য" নিয়ে আরও একবার ভাবার সময় এসেছে। সময় এসেছে সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থার দিকে ফিরে তাকানোর।






















স্যানিটাইজার আসল নাকি নকল? নিজেই পরীক্ষা করে দেখুন


আসল থেকে নকল ছেয়ে গেছে বাজারে। নিজের স্যানিটাইজার নিজেই পরীক্ষা করে নিতে শিখুন। কিন্তু কিভাবে? বাজারে এখন অসংখ্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার। প্রতিটির গায়ে লেখা আছে ৭০ শতাংশ এলকোহল। কিন্তু সত্যি কি তাই? সব স্যানিটাইজার আসল? না। তাহলে কিভাবে চিনবেন কোন হ্যান্ড স্যানিটাইজার সবচেয়ে নিরাপদ কার্যকারী বা খাঁটি। আসুন জেনে নেওয়া যাক তিনটি ঘরোয়া উপায়ে।

১. একটি পাত্রে সামান্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে সেটি শুকোনোর চেষ্টা করুন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শুকিয়ে গেলে ওই হ্যান্ড স্যানিটাইজার খাঁটি। নকল বা এলকোহলের মাত্রা কম হলে সেটি শুকোতে সময় লাগবে বেশি।

২. টিস্যু পেপারে কলমের দাগ দিয়ে ওই দাগের উপর কয়েক ফোটা স্যানিটাইজার ঢালুন, পেনের কালি দ্রুত টিশু পেপারে ছড়িয়ে গেলে বুঝতে হবে ওই স্যানিটাইজার নকল বা এতে এলকোহলের মাত্রা অনেক কম। টিশু পেপারে কালি না ছড়িয়ে সেটি মুহূর্তে শুকিয়ে গেলে বুঝতে হবে, তা অত্যন্ত কার্যকরী।

৩. একটি ছোট পাত্রে সামান্য ময়দা নিয়ে তাতে কিছুটা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে মাখতে শুরু করুন, ময়দা দলা পাকিয়ে গেলে বুঝতে হবে ওই স্যানিটাইজার নকল বা এতে এলকোহলের মাত্রা অনেক কম। খাঁটি স্যানিটাইজার ক্ষেত্রে এমনটি হবে না।


বিরোধিতা মানে শুধু অন্ধ বিরোধিতা নয়

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিন, গ্যাস আর দাম যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়িয়েছে যার প্রভাব দেশের জনগণের সঙ...