শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

ঘরোয়া উপায়ে মূত্রনালির সংক্রমণ থেকে মুক্তি


মূত্রনালির সংক্রমণ বা ইউরিন ইনফেক্শন অত্যন্ত অস্বস্তিকর সমস্যা। আমাদের দেহ থেকে তরল বজ্ৰ বের হওয়ার জন্য যে সিস্টেম রয়েছে তাকেই মূত্রতন্ত্র বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট বলে। মূত্রতন্ত্রে যেকোনো অংশে জীবাণুর সংক্রমণ হলে তাকে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই) বলে। কিডনি, মূত্রনালি সহ একাধিক অংশে এই ধরণের সংক্রমণকে উরিনে ইনফেকশন বলা হয়। মূত্রনালিতে সংক্রামণের জন্য ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা ভাইরাস দায়ী হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়াই দায়ী। 

মূত্রনালির সংক্রামণের লক্ষণ 

প্রস্রাবের বেগ আসা সত্বেও ঠিকমতো প্রস্রাব না হওয়া বা খুবই সামান্য হওয়া, প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া করা, প্রস্রাবের রং পরিবর্তন ও দুর্গন্ধ হওয়া, ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া, পেট ব্যথা, জ্বর, বমিবমি ভাব ও বমি হওয়া, অবসন্ন ও ক্লান্ত অনুভব করা। ছোটদের ক্ষেত্রে ডায়েরিয়া, জ্বর, খেতে না চাওয়া ইত্যাদি হতে পারে।  

এই রোগে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই বেশি আক্রান্ত হয়। কারণ মেয়েদের মূত্রনালির পায়ুর খুব কাছাকাছি থাকে। ফলে মলদ্বার দিয়ে নির্গত ব্যাক্টেরিয়া সহজে মূত্রনালীতে যেতে পারে। এছাড়া মেয়েদের মূত্রনালি ছোট হওয়ায় ব্যাক্টেরিয়া সহজেই মূত্রথলি ও কিডনিতে পৌঁছে সক্রামণ ঘটাতে পারে। প্রস্রাবে পরীক্ষার মাধ্যমে মূত্রনালির সংক্রমণ বা ইউটিআই নির্ণয় করা যায়। এই সংক্রমণ প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে দ্রুত সুস্থ হওয়া যায়। তবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে মূত্রনালির সংক্রমণ থেকে পুরোপুরি মুক্তি মেলে। যেমন, 

১) আপেল সিডার ভিনেগার ইউরিনারি নালীর ইনফেকশন রোধে সক্ষম। এই ভিনেগার প্রাকৃতিক এন্টিব্যায়োটিক হিসাবে কাজ করে। এক গ্লাস জলের সঙ্গে ২ চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খেয়ে নিন। উপকার পাবেন। 

২) লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। 

৩) বেকিং সোডার অ্যাসিড উপাদান প্রস্রাবের সমস্যা রোধ করে এবং ব্যথা দূর করে। এই সমস্যা এড়াতে এক চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে এক গ্লাস জল মিশিয়ে প্রতিদিন ১/২ বার খান। 

৪) আনারসের থাকা ব্রোমেলাইন মূত্রনালির সংক্রমণের জ্বালাপোড়া রোধ করে। তবে শুধু আনারস না খেয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিব্যায়োটিকও খেলে ভালো হবে।  

৫) অবশ্যই প্রচুর জল খান। শসাও খেতে পারেন।

৬) এক মুঠো সেলেরি বীজ চিবিয়ে রস খেতে পারেন। অথবা বীজ দিয়ে ঢেকে রাখুন, ৮ মিনিট পর মিশ্রণটি ছেঁকে খেয়ে নিন। 

৭) হট ওয়াটার ব্যাগ নিয়ে তলপেটের উপর রাখতে পারেন। এতে দ্রুত প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ও ব্যথা দূর হবে।  

৮) আরামদায়ক পোশাক পড়ুন। 

জল খেলেই সব সমস্যার সমাধান হয় না


জীবনের সবকিছুর যেমন ব্যালেন্স দরকার হয়। তেমনি জলপানেরও সঠিক ব্যালেন্স রাখা জরুরি। গবেষকরা বলেছেন প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত জল খেলেই সর্বনাশ। গবেষকরা বলেছেন, প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত জল খেলে বিগড়ে যেতে পারে শরীর। 'বেশি করে জল খাস', কিংবা 'জল খেয়েছিস তো'? জিয়ো পরামর্শ আমরা সবাই রোজ শুনতে অভ্যস্ত। বাচ্ছাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খায়ানো নিয়ে মায়েদের নাজেহাল হওয়ার দশার ছবিও নতুন কিছু নয়। কিন্তু এখানেই লুকিয়ে আছে অজানা বিপদ। জীবনের সব কিছুর যেমন ব্যালেন্স দরকার হয়, তেমনি জলপানের সঠিক ব্যালেন্স রাখা জরুরি। গবেষকরা বলছেন, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি মাত্রায় জল খেলে সর্বনাশ। শরীরের জলের ঘাটতি হলে যেমন ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয় আমাদের, তেমনি জলের অধিক্য হলে ওভার-হাইড্রেশন হতে পারে, যা থেকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে প্রধান, শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাওয়া।

হাইপোনেট্রেমিয়া, অর্থাৎ শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়া, মগজ স্ফীতির জন্য দায়ী। এইধরণের সমস্যায় সাধারণত বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। মাথায় আঘাত, পচন, হৃদরোগজনিত সমস্যা থাকলে সাধারণত হাইপোনেট্রেমিয়ার সম্ভবনা থাকে। মস্তিষ্কের হাইড্রেশন সেনসিং মেকানিজমে প্রভাব ফেলে এটা। ডিহাইড্রেশন হলে তা যেভাবে মস্তিষ্কের হাইড্রেশন সেনসিং নিউরন চিহ্নিত করতে পারে, ওভারহাইড্রেশনের ক্ষেত্রে এই নিউরন তা পারে না। যার জোরে সমস্যা হয়, এমনটাই মনে করছেন গবেষকরা। 

গবেষকদের সাবধানবাণীর পর এবার থেকে সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়া পৰ্যন্ত সারাদিনে ক'গ্লাস জল খাচ্ছেন, তার হিসেবনিকেশ রাখা আপনার ডেইলি রুটিনের মধ্যে রাখতে হচ্ছেই। ঘুরতে ফিরতে কি আপনার ঘন ঘন খাওয়ার বদ অভ্যেস রয়েছে ? কিছু খান বা না খান, ঢকঢক করে কি জল খেয়ে ফেলেন? তাহলে কিন্তু বিপদ। 

বিরোধিতা মানে শুধু অন্ধ বিরোধিতা নয়

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিন, গ্যাস আর দাম যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়িয়েছে যার প্রভাব দেশের জনগণের সঙ...