জীবনের সবকিছুর যেমন ব্যালেন্স দরকার হয়। তেমনি জলপানেরও সঠিক ব্যালেন্স রাখা জরুরি। গবেষকরা বলেছেন প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত জল খেলেই সর্বনাশ। গবেষকরা বলেছেন, প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত জল খেলে বিগড়ে যেতে পারে শরীর। 'বেশি করে জল খাস', কিংবা 'জল খেয়েছিস তো'? জিয়ো পরামর্শ আমরা সবাই রোজ শুনতে অভ্যস্ত। বাচ্ছাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খায়ানো নিয়ে মায়েদের নাজেহাল হওয়ার দশার ছবিও নতুন কিছু নয়। কিন্তু এখানেই লুকিয়ে আছে অজানা বিপদ। জীবনের সব কিছুর যেমন ব্যালেন্স দরকার হয়, তেমনি জলপানের সঠিক ব্যালেন্স রাখা জরুরি। গবেষকরা বলছেন, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি মাত্রায় জল খেলে সর্বনাশ। শরীরের জলের ঘাটতি হলে যেমন ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয় আমাদের, তেমনি জলের অধিক্য হলে ওভার-হাইড্রেশন হতে পারে, যা থেকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে প্রধান, শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাওয়া।
হাইপোনেট্রেমিয়া, অর্থাৎ শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়া, মগজ স্ফীতির জন্য দায়ী। এইধরণের সমস্যায় সাধারণত বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। মাথায় আঘাত, পচন, হৃদরোগজনিত সমস্যা থাকলে সাধারণত হাইপোনেট্রেমিয়ার সম্ভবনা থাকে। মস্তিষ্কের হাইড্রেশন সেনসিং মেকানিজমে প্রভাব ফেলে এটা। ডিহাইড্রেশন হলে তা যেভাবে মস্তিষ্কের হাইড্রেশন সেনসিং নিউরন চিহ্নিত করতে পারে, ওভারহাইড্রেশনের ক্ষেত্রে এই নিউরন তা পারে না। যার জোরে সমস্যা হয়, এমনটাই মনে করছেন গবেষকরা।
গবেষকদের সাবধানবাণীর পর এবার থেকে সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়া পৰ্যন্ত সারাদিনে ক'গ্লাস জল খাচ্ছেন, তার হিসেবনিকেশ রাখা আপনার ডেইলি রুটিনের মধ্যে রাখতে হচ্ছেই। ঘুরতে ফিরতে কি আপনার ঘন ঘন খাওয়ার বদ অভ্যেস রয়েছে ? কিছু খান বা না খান, ঢকঢক করে কি জল খেয়ে ফেলেন? তাহলে কিন্তু বিপদ।
Khubh valo likhechhen aponi. Arokom aro kichhu tips dile khubi upokrito hobo amra.
উত্তরমুছুনআপনার আন্তরিকতার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ...আপনাদের মতন মানুষের পাশে থাকার জন্য সামগ্রিক ভাবে চেষ্টা করছি..
উত্তরমুছুন